কোরবানির উৎপত্তি ও ইতিহাস

কোরবানির  ও তথ্য 

কোরবানি শব্দটা আসলে কিরবানুন শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। কিরবান বলা হয় এমন কেকে আল্লাহ তালার নৈকট্য লাভের আদম বা অসীলা হয়। ভিন্ন ভিন্ন নেক মত যা ঈশ্বর পাকার নৈকট্য ও রহমত অর্জন করে জন্তু জবাই করার মাধ্যমে বা দান-সাদকা দ্বারা। কিন্তু সাধারনের মধ্যে কোরবানটি শব্দের জবাইয়ের জন্য হবে। এই শব্দটি দ্বারা জন্তুর সতর্কতা নৈকট্য দেবার মাধ্যমে প্রায় এই শব্দটি অর্জন করা হয়েছে 

তাই শরীয়তের পরিভাষায় কোরবানি হল খেলা তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে জানোয়ার জবাই করা।

তাই কেউ যদি গোশত সম্পর্ক নিয়তে কোরবানি করে বা বিবাহ শাদিতে অগণিত রুসুনের পদ্ধতিতে কোরবানি করে অথবা মনে করে স্মরন করে, শুধু পর বাপ দাকে বয় করা ইলকের বানী করতে বানাতে আসছি আমরা কোরবানি দেই, অথবা পাড়া-প্রতিবেশদের বিদ্রুপ থেকে বাঁচার জন্য লোকসানের জয়ের জোয়ার প্রচারের জন্য নক কোরবানি হতে পারে না এবং এত ভিন্ন সে কোন সওয়াবের আশা করতে পারে।

কোরবানির সুচনা 

ইতিহাস ও জীবনীমূলক কিবাদ থেকে জানা যায় যে, তারা এমন কোন জাতি ছিল না স্বীয় মাযহাব ধারা কুরবানী না কর। কোরবা ধারা হজরত আদম এর মুসলিম সালাম সালাম এ নির্দেশক হাবিল-কাবিলের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত প্রশ্নল উপস্থিত হতে হযরত আদমসে সা সালাম ইখলার সাথে কুরবানী দেন। কোরবানি কবুল হবে তার সাথে আকলিমাকে বিবাহ। তখন কর যুগে কোরবানি কবুল আলা মত ছিল যে কোরবানিতে কবুল হয়, তাকে আসমান থেকে আগুন এসে জ্বলে দিত। কতৃক ভাতৃদ্বয় রবানির আদেশ প্রাপ্ত কো দুম্বা কুর্নবাণী। হাবিল দুম্বাটি ছিল মোটা-তাজা ও সুন্দর। তাই হাবিলের কুরবানী আল্লাহ কবুল পথ। আর কাবিলের দল দুম্বাটি ঐ রূপেই পড়ে। গ্রহ সে অত্যাধিক ক্রুদ্ধ হয়ে হাবিকে বলে।

কোরবানির ইতিহাস 

সমগ্র দুনিয়ার সামর্থ্যবান প্রতি বছর জেলহজ্বাল্লাহ ১০-১১ ও ১২ যে কুরবানী করেছেন তা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিচারণ, যা ইতিহাসের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন। অতুলনীয় শিক্ষাপ্রদ।

হযরত ইব্রাহীম শান্তি সালাম স্বপ্নে বিদ্বেষকে বলা, এই ইব্রাহিম! তুমি কোরবানি করো। পথ লোক তিনি আনন্দচিত্তে ১০০ উট কোরবানি পথ। স্বপ্ন দেখাও ওহী। কিন্তু পরবর্তী রাতও তিনি একই নির্দেশ দিতে পারেন। আবার সকাল তিনি একশ আউট কোরবানী স্থান। তিন রাত্রে স্বপ্নে আবার পাক লেখক, ইব্রাহিম তুমি কুরবানী ভক্ত। তিনি আরজ রাস্তা, মা'বুদ! আমি কি কুরবানী করব? ইরশাদ, তোমার সর্বাপেক্ষা প্রিয় জিনিসটি উৎসর্গ করো। 

জিলহজ্বের ১০ তারিখ রাত তিন বারেও একই স্বপ্নের দেখা। আগামী দিন হচ্ছে কুরবানীর দিন। তাই তার পরিষ্কার পরিষ্কার হয়ে গেল, আজ আদরের সন্তান ইসমাইল সালামের কাছের মালিকের বিরুদ্ধে জবাই হবেন। কিন্তু স্বপ্নের ইশারা ইঙ্গিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানের প্রতি নেই। হযরত ইব্রাহিমস সালাম স্বপ্নে আরজ করেন, আমি কোন কোরবানি করব? ইশারায় ঘর দেওয়া হল তোমার সবচেয়ে প্রিয়, তাই কোরবানি করো। ইব্রাহিমিসস সালাম এর সন্তানসমাজ তার সর্বোচ্চে ছিলেন। 

কোরবানির সংকল্প বা নিয়ত

এ স্বপ্নের পর হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম পুত্রকে কোরবানি দেওয়ার সংকল্প করে ফেলেন। পরে ইসমাইল আলাইহিস সালাম এর আম্মাজান এর নিকট বৃত্তান্ত ব্যক্ত করে বলেন, এখনই আমাদের স্নেহের দুলালকে গোসল করিয়ে উত্তম কাপড় পরিয়ে দাও। অতঃপর হযরত হাজেরা আলাইহিস সালাম তার কলিজার টুকরা পুত্রকে গোসল করিয়ে ও উত্তম পরিচ্ছেদে আচ্ছাদিত করলেন, প্রাণ ভরে চিরজীবনের মতো বুকে জড়িয়ে আদর সোহাগ করে নিয়ে বললেন, যাও আমার প্রাণ! আল্লাহর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করো। 

পিতা-পুত্র গৃহ থেকে রওয়ানা 

হযরত ইসমাইল আলাইহি সালাম মায়ের কথা শুনে দ্রুত বাড়ি থেকে হাসিমুখে বের হয়ে আসলেন। অন্য বর্ণনামতে পিতা স্বয়ং করলেন সন্তানের সাথে ধারালো ছুরি আর রশি গুটিয়ে নিয়ে। তা শয়তানের কখনো বরদাশত হতে পারেনি। সে তার শয়তানি চাল আরম্ভ করে দিল। প্রথমে হযরত হাজেরা আলাইহিস সালাম এর নিকট নেহায়েত মেহেরবান ও দরদী সেজে গেল এবং বলল আহ! তুমি তো কিছুই জানো না, ইসমাইলকে তার আব্বা জবাই করার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। হাজেরা আলাইহিস সালাম বলেন, পাপো কি নিজের ছেলেকে জবাই করে? শয়তান যুক্তি পেশ করতে লাগলো, ইব্রাহিম আলাই সালামকে জবাই করার জন্য আল্লাহ তায়ালা হুকুম করেছেন। হাজেরা আলাইহিস সালাম বলে উঠলেন, তাহলে তো আল্লাহর হুকুম পালন করা একান্ত জরুরী। 

পথিমধ্যে শয়তানের অনুপ্রবেশ 

হযরত হাজেরা আলাইহিস সালাম কে ধোকা দিতে না পেরে শয়তান হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও ইসমাইল আলাইহিস সালাম এর প্রতি ছুটল। প্রথমে দশটা শুরুতে ইব্রাহিম আলাই সালাম কে বাধা প্রদানে ব্যর্থ হয়ে চামড়া আকাবার নিকটে নিকট আকৃতিতে হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম এর গতিরোধ করল। তিনি আল্লাহু আকবার তাকবীর ধ্বনি দিয়ে সাতটি কঙ্কর শয়তানকে নিক্ষেপ করলেন। হলে শয়তান সেখান থেকে পলায়ন করে জমরায়ে বোস্তায় পথ আটকিয়ে ফেলে। হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম আবার আল্লাহু আকবার তাকবীর বলে কংকর নিক্ষেপ করেন ফলে শয়তান পালিয়ে যায়। 

তৃতীয়বার জমরায়ে উলাতে পুনরায় শয়তান পথ বন্ধ করে ফেলে হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বের মতোই তাকবীর ও কংকর নিক্ষেপ করেন।

কুরবানী স্থলের ঘটনা

ইসমাইল আলাইহিস সালাম তার পিতার স্বপ্নের এবং পরামর্শের অবনত মস্তকে আরয করলেন, আব্বাজান!  এ মহান কাজে মতামতে কি প্রয়োজন? ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্য থেকে পাবেন। আমার মত সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে? আমি আপনার জবায়ের মাধ্যমে মহান রব্বুল আলামীনের সঙ্গে মিলে যেতে পারবো। আর বিলম্ব নয়, এখন আমি বিসমিল্লাহ বলে আমার গলায় ছুরি চালিয়ে দিন । যেন মানবজাতির চিরশত্রু ইবলিশ আমাদের এই খালেস নিয়তকে বিগ্রে দেওয়া সুযোগ না পায়। 

যাহোক হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম স্বীয় সন্তানের মুখে একথা শুনে তার হৃদয়ের টুকরা সন্তানকে ওই পাথরের নিকট নিয়ে গেলেন, যা মিনাতে রয়েছে। এখনো হজের  দিন সময়ে আরবের কুরবানী জন্তু গুলোকে সাধারণত এ মিনা নামক স্থানে জবাই করা হয়।

জবাই করার দৃশ্য 

ভোরের সোনালী সূর্য পূর্ব আকাশে উঁকি মেরেছে। তার সংবাদ আলোয় ভরপুর সামনে পিপি। ইব্রাহিম অনুভবস সালামে চিত্রে শাওন প্রস্তাবন । উর্ধ্ব নির্মাণ ফেরেশতা কুলের রাস্তার হাহাকার। এমন এক দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে যার উপমা আজ পর্যন্ত দ্বিতীয়টি নেই। মেসমাইল আঃ এর চেহারায় হতাশা কোনো ছাপ। সূর্যের ধার দেওয়া হয়েছে। হজরত ইব্রাহিমস সালাম কুরবানীর জন্তুর মত স্বীয় স্বীয় সন্তানকে শোয়ায়েব উপর করে। অদৃশ্য প্রস্তুতি পড়ে গেল ক্রন্দনের রোল। কিন্তু কর্মক্ষমতা সক্রিয় হচ্ছে না যে, সতর্ক আলিশান দরবারে প্রার্থনা করবে, এ মাবুদ কোন মঙ্গলের উদ্দেশ্যে আপনি এইরূপ হৃদয়বিদারক ঘটাচ্ছেন? আল্লাহ ভালো জানেন। ইব্রাহিম আলাই সালামে কি পরিমান তরলাম এর প্রেমের কলমে। তিনি সোনার সোহাগা সন্তানের ও কোমর অংশের পক্ষে তড়িৎ শক্তিতে বিসমিল্লাহ বলে কোন শারীরিক কাজ বের করে নেবেন এবং ছেলের কমল কণ্ঠে বলছেন। 

মধ্যবর্তী ইব্রাহিম আলাই সালাম নবুয়তের ফুলগানের কচি ফুলের উপর ছুরি চালান, আর দিকে দিকে উঠার শুরুর জিব্রাইল আমি নিজে অজান্তেই আল্লাহু আক্তার, আল্লাহু আক্তার বলে চিৎকার করে। উচ্চাধ্যায় বভূমি তে ইসমাইল আলাই সালাম উপরে জোব্রাইল আলাই সাশেলাম এর জিকে বলতে বলতে লাগলেন "লাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহু আক্তার" তার সাথে ইব্রাহিম আলাই সালাম যোগ করে আল্লাহ আকবার ওয়ালিল্লাহ হামদ। এ পর্যন্ত আবেগ উচ্চারিত নীতি কালিমাটির সমষ্টিতে সুন্নতে ইব্রাহিম সীমাবদ্ধ হয়ে উল্ল আযহা বারবার পাঠ করতে হবে এবং কিয়ামত তা থাকবে।

চিন্তার বিষয় ইসমাইল আঃ পাসর তার অনুগত সন্তান। অবস্থান নিত্যন্ত নাজুক। কিন্তু বাহাদুরের মত সিজদায় পড়ে ধৈর্যের পাহাড় বুকে উল্টো ভুল বলন। একক তিনি মনে করেছেন যে, এ অস্থায়ী জীবনকে সামনের সন্ধান উৎসর্গ করা সৌভাগ্য ওওরবেবের বিষয়, যা দুনিয়াতে অর্জন করা খুশ নসিবের সম্পূর্ণ। ব্রেডই কি কোন শরীরে তাপমাত্রা তার সম্পূর্ণ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু আল্লাহ ই ভালো জানেন, শরীর কি হয়েছে। খলিল পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা সার্থক না। দেহধার এতই ভোক্তা হয়ে গেল যে, ইসমাইল সালাম এর একটি পশম ও কাটতে পারল না। ব্র্রাহিম আলাই সালাম যখন ইদানীং, তার কাজ করতে শুরু হয়েছে তখন সর্বটি বিসমিল্লাহ বলে শক্তি ক্ষমতা করে চুরি চালালেন। 

ইসমাইল মিলস সালাম এর এই হৃদয়বিদারক যবয়ের দৃশ্য এখন তাআলার রহমতে জোশ মেরে উঠলো। জিবরাহ ইলস সালাম কেদেকে রাব্বুল আলামিন নির্দেশ, এ জিব্রাইল! তুমি ব্যস্ত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে যাও আমার খলিকে সালম দিয়ে ইসমাইলের পরিবর্তে এটাকে কুর্নিশ করতে বল। আমি তার কুরবানী কবুল করে নিয়েছি। আর স্বয়ং মহান আল্লাহ ইব্রাহিম আলাই সালাম! কেব থেকে সম্মোধন করেন "হে ইব্রাহিম স্বপ্নে তোমাকে সত্য বলে স্বীকার করেছ। 

মারণাস্ত্রে আঘাতকারী মেরে - হে ইব্রাহিম! ইসমাইলের ঘাড়ে না। সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা ইসমাইল আলাই সালা এর রূপ কুবানীরের জন্য মোটা তাজা একটা দুম্বার অংশ। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url